বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: সাঈদ খোকনের নামে মামলা

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:০১

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের করা মামলাটি গ্রহণ করে।

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার কয়েকটি মার্কেটে নকশা বহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের নামে মামলা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের করা মামলাটি গ্রহণ করে।

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মামলায় ডিএসসিসির আওতাধীন গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২, সিটি প্লাজা-এ, নগর প্লাজা-বি এবং জাকের সুপার মার্কেটে নকশা বহির্ভূতভাবে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও আলু বাজারের ওয়ালিদ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালতে অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের তিনটি ব্লকে নকশা বহির্ভূত ৯১১টি দোকান রয়েছে জানিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা

ডিএসসিসির উচ্ছেদ দলের সঙ্গে ওই দিন দোকান মালিক ও কর্মচারীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে কয়েক দিন ধরে চালানো উচ্ছেদ অভিযানে কয়েকশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা

দোকানিরা ওই সময় জানিয়েছিলেন, দোকানগুলো তাদের ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। আর এ জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে এককালীন টাকাও দেয়া হয়। তাদের হিসাবে তাদের মালিকানা বৈধ। হঠাৎ কীভাবে অবৈধ হয়ে গেল, সেটা বুঝতে পারছেন না।

তবে ডিএসসিসির দাবি, এগুলো নকশা বহির্ভূত। কিছু দোকান মূল বিপণিবিতানের শৌচাগার, লিফটের জায়গা ও হাঁটার পথে তৈরি করা হয়েছে।

দোকানের বরাদ্দ নিয়ে এর আগে সাঈদ খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ৯১১টি দোকানের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ম্যাক্সিমাম বৈধ। এই দোকানিদের অনেকে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে একটা নির্দেশনা আসে তাদের সমস্যা নিষ্পত্তি করার জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর