বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০২১ সালে গণতন্ত্রের সরকার: ফখরুল

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:১০

‘বন্ধুরা আপনারা অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ থাকার।… সামনের বছরে আমাদের সংকল্প হচ্ছে শুধু বিএনপি না, সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।’

সরকারের বিরুদ্ধে কেবল বক্তব্য না দিয়ে আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নতুন বছরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের দুই বছর পূর্তির দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি।

দুই বছর আগের ওই ভোটে বিএনপি ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফলাফল করে। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির পাঁচ জন আর জোটের শরিক গণফোরামের দুই জন জিতেন। আর বিএনপির সমর্থনে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী জিতলেও তিনি পরে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিএনপিতে যোগ দেননি তিনি।

বিএনপির ঘোষণা ছিল এই সংসদে যোগ না দেয়ার, যদিও পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে শপথ নিয়েছেন দল ও জোটের নির্বাচিতরা। শপথ নেয়ার আগে আন্দোলনের ঘোষণা থাকলেও পরে আর কোনো কর্মসূচি দেয়নি তারা।

বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভে বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, নির্বাচনের নামে সেদিন মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট দেয়া হয়েছে আগের রাতে। ভোটের দিনও ভোটারদেরকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে।

নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বন্ধুরা আপনারা অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ থাকার।’

২০২১ সাল ‘গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠার’ বছর হবে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বছরের আর দুই একদিন আছে। সামনের বছরে আমাদের সংকল্প হচ্ছে শুধু বিএনপি না, সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।

‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মুখে বলে কাজ করে উল্টো। তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’

বিএনপির নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আবার তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া।

সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’

ব্যালট বাতিল করে ইভিএম চালুরও সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা। তার দাবি, ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গা পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে।

বিক্ষোভে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না দেখে বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচি সহ্য করতে পারে না।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর