করোনাকালে চিকিৎসক পাঠানোসহ নানা সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে মালদ্বীপ।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষে কৃতজ্ঞতা জানান ঢাকায় নবনিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার শিরুজিমাৎ সামির।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন শিরুজিমাৎ সামির।
নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি জানান, তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিকসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে বাংলাদেশ।
এসব পণ্য মালদ্বীপ আমদানি করতে পারে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এতে দু’দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বাড়বে বহুগুণে।’
চিকিৎসা,কারিগরি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
দুই দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সফরের ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। এ সংকট সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে যৌথ প্রচেষ্টা আরও বাড়াতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো.ওয়াহিদুল ইসলাম খান।