বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আদেশ কাল

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৫০

তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সিটি সুপার মার্কেট-২, সিটি প্লাজা-এ, নগর প্লাজা-বি এবং জাকের সুপার মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার কয়েকটি মার্কেটে নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জমা হয়েছে আদালতে।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালতে জাকের সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এ অভিযোগ জমা দেন।

সাবেক মেয়র খোকনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সিটি সুপার মার্কেট-২, সিটি প্লাজা-এ, নগর প্লাজা-বি এবং জাকের সুপার মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও আলু বাজারের ওয়ালিদ।

এদিন আদালত জানায়, প্রাথমিক শুনানির পর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে এবং অভিযোগের আদেশ পরে দেয়া হবে।

একই দিন বিকাল পাঁচটায় আদেশ দেয়ার কথা থাকলেও পরে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আদেশ হবে বলে জানান মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম মো. আশেক ইমাম।

অভিযোগে বলা হয়েছে, সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন।

ঘোষণা শুনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরল বিশ্বাসে দোকান বরাদ্দ নেয়ার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

মেয়র সাঈদ খোকনের সুসম্পর্ক থাকায় ব্যবসায়ীরা কামরুল হাসান (মেয়রের সহকারী হিসেবে পরিচিত), হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদের কাছে যান। তারা ব্যবসায়ীদের সাঈদ খোকনের কাছে নিয়ে যান। ওই চার জন ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন, আমরা আপনাদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে দিব।’

ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল ভবনে যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে তাদের অভিযোগ কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও আলু বাজারের ওয়ালিদের বিরুদ্ধে।

তারা বলছেন, ওই ব্যক্তিরা ব্যবসায়ীদের ঠকানোর উদ্দেশ্যে এবং ভুল বুঝিয়ে তাদের দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেছেন। সাঈদ খোকন ও মাজেদসহ অন্যরা মিলে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং তাদের নকশাবহির্ভূতভাবে নির্মিত ভবনে দোকান বরাদ্দ দেন।অভিযোগে আরও বলা হয়, নিয়মবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ বিষয় জানার পর দেলোয়ার হোসেন অভিযোগভুক্তদের দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধসহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা লেনদেনে বাধা দেন। এতে অভিযোগভুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট আসামি ইউসুফ আলী সরদার, আতিকুর রহমান স্বপন ও আলু বাজারের ওয়ালিদ অভিযোগকারীকে বনানীতে ডেকে নিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ ও এক্সটেনশন ব্লক- এ,বি,সি এর দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাধা দেয়া বন্ধ না হলে ফল খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দেন।নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার সাহস পর্যন্ত পাননি দেলোয়ার। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদের নির্দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ দোকান বরাদ্দের কথা বলে বিনা রশিদে কয়েক কোটি টাকা নেন।

এতে বলা হয়, সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিনা রশিদে বা কোনো প্রমাণ ছাড়া বরাদ্দের জন্য টাকা জমা দিয়ে দেলোয়ারের কাছে পরামর্শের জন্য আসেন। দেলোয়ার তাদের বলেন, এখন থেকে ফুলবাড়িয়া উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডে মেয়র সাঈদ খোকনের হিসাব নম্বরে টাকা জমা দিবেন। এরপর ভুক্তভোগীরা সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের তিনটি ব্লকে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান রয়েছে জানিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

ডিএসসিসির উচ্ছেদ দলের সঙ্গে ওই দিন দোকান মালিক ও কর্মচারীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে কয়েক দিন ধরে চালানো উচ্ছেদ অভিযানে কয়েকশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

দোকানিরা ওই সময় জানিয়েছিলেন, দোকানগুলো তাদের ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। আর এ জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে এককালীন টাকাও দেয়া হয়। তাদের হিসাবে তাদের মালিকানা বৈধ। হঠাৎ কীভাবে অবৈধ হয়ে গেল, সেটা বুঝতে পারছেন না।

তবে ডিএসসিসির দাবি, এগুলো নকশাবহির্ভূত। কিছু দোকান মূল বিপণিবিতানের শৌচাগার, লিফটের জায়গা ও হাঁটার পথে তৈরি করা হয়েছে।

দোকানের বরাদ্দ নিয়ে এর আগে সাঈদ খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ৯১১টি দোকানের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ম্যাক্সিমাম বৈধ। এই দোকানিদের অনেকে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে একটা নির্দেশনা আসে তাদের সমস্যা নিষ্পত্তি করার জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর