বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন দিনের ধর্মঘটে চিকিৎসা সেবা বিপর্যস্ত

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৫৯

অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসা জান্নাত বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাচ্চার তিন দিন থেকে জ্বর, ঠান্ডা। এই তিন দিনে তিনবার হাসপাতালে আসলাম কিন্তু কোনো ডাক্তার নাই। এখন আমার বাচ্চা কি চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে?’

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়ায় এবং দাবি পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় দিনের মত ধর্মঘট পালন করেছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জেলার সব সরকারি হাসপাতালে ও জেলার প্রাইভেট হাসপাতালে এ ধর্মঘটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার চিকিৎসা সেবা। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন জেলার রোগী ও তাদের স্বজনরা। অনেকে সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ডাক্তার না থাকায় আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীরাও চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন গর্ভবতী নারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রেগনেন্সি প্রবলেম আছে। কোনো জায়গায় কোনো ডাক্তার নেই। আমার গর্ভের বাচ্চাকে নিয়ে খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি। কিভাবে যে কি করি। আমরা চাই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক।’

অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসা জান্নাত বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাচ্চার তিন দিন থেকে জ্বর, ঠান্ডা। এই তিন দিনে তিনবার হাসপাতালে আসলাম কিন্তু কোনো ডাক্তার নাই। এখন আমার বাচ্চা কি চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে?’

শহরের মুসলিমাবাদ এলাকার জবেদা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইসে ঘুরে গেলাম, চিকিৎসা করতে পারলাম না। ডাক্তার এখন কবে আসবে আমি তো জানি না। আমার কিডনির সমস্যা। অপারেশন করা দরকার। খুবই কষ্টে আছি আমরা। এইভাবে চলতে পারে না। এই ধর্মঘট কবে শেষ হবে?’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখনও তদন্ত প্রতিবেদন পায়নি। আমাদের কর্মসূচী চলমান আছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।’

রোগীদের দূর্ভোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও আন্তঃবিভাগ এবং জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে। সেখানে রোগীরা সেবা নিচ্ছেন।’

জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববারের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি গতকাল পেয়েছি। চিঠিতে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর