বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দল

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৪০

দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির ত্যাগ করেন ৪২৭টি পরিবারের এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে নারী ৫২৩ জন, পুরুষ ৪৩৩ জন ও শিশু ৮৪৮ জন।

দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও চার শতাধিক পরিবারের এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ রোহিঙ্গা দলটিকে নিয়ে ভাসানচরে পৌঁছায়।

এর আগে সোমবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের বাসে করে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তাদের রাখা হয় চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে।

দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির ছাড়েন ৪২৭টি পরিবারের এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে নারী ৫২৩, পুরুষ ৪৩৩ ও শিশু ৮৪৮ জন। এই দলের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি রয়েছে প্রথম দফায় ভাসানচরে যাওয়াদের স্বজন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে এক হাজার ৮০৪ জনের রোহিঙ্গা দলটি খুব সুন্দরভাবে ভাসানচরে পৌঁছেছে। তাদের জন্য ভাসানচরে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে আগেই।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ভাসানচরের পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধা দেখে প্রথম দফায় আসা রোহিঙ্গারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাদের সন্তুষ্টির কারণেই অন্য রোহিঙ্গারা ভাসানচর আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এর আগে থেকে ছিল আরও প্রায় চার লাখ। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে ৩৪টি ক্যাম্পে।

কক্সবাজার ক্যাম্পে ঘিঞ্জি পরিবেশ, ভূমিধসের শঙ্কা, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে সেখানে ভিড় কমাতে উদ্যোগ নেয় সরকার। রোহিঙ্গাদের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।

যদিও বেশ কিছু এনজিও ও বিদেশি সংস্থার কারণে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে রাজি করানো যাচ্ছিল না। তবে সেপ্টেম্বরের শুরুতে এক দল রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা দেখিয়ে আনার পর একটি অংশ সেখানে যেতে রাজি হয়।

এরপর যারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক শুধু তাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রথম দফায় ৪ ডিসেম্বর এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। নৌ বাহিনীর তিনটি জাহাজ তাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচর পৌঁছে দেয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেখানে দেড় হাজার এক তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে। আরও আছে ১২০টি বহুতল ভবন, যা সাইক্লোন আশ্রয় কেন্দ্র ও অন্যান্য সময় অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর