সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবু সাঈদ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৩ জানুয়ারি ঠিক করেন।
এ নিয়ে প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৭ বার পিছিয়েছে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ।
গত ৩ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উচ্চ আদালতে দাখিল করা এক অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলেন, আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস ও প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
ল্যাব দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীদের ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়।
নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।