প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী বন্দরের জেটিতে জাহাজ ভিড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পানামার পতাকাবাহী ‘ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ নামের জাহাজটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে জেটিতে ভেড়ে।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. আতাউল হাকিম সিদ্দিকি নিউজবাংলাকে বলেন, জাহাজটি নিরাপদে জেটিতে ভিড়েছে। বন্দরের দুইজন জ্যেষ্ঠ পাইলটের নেতৃত্বে টাগবোট ‘কাণ্ডারী-৮’ এর সহায়তায় জাহাজটি জেটিতে আনা হয়।
গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পেলাবুহান সিলেগন বন্দর থেকে মাতারবাড়ীর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে রওনা দেয় এই জাহাজটি।
‘ভেনাস ট্রায়াম্ফ’ একটি সাধারণ মালবাহী জাহাজ। ২০০৯ সালে নির্মিত জাহাজটি ১২০ মিটার লম্বা। এর ওজন নয় হাজার ৬৮০ টন।
যে চ্যানেল দিয়ে জাহাজটি ভিড়েছে সেটির প্রস্থ ২৫০ মিটার, গভীরতা ১৮ মিটার ও দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগর থেকে এই চ্যানেল দিয়েই জাহাজটি বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি আরেকটি জাহাজের এই বন্দরে আসার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু মাতারবাড়ী পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা বিস্তৃত, তাই সেখানে জাহাজ ভিড়লে ‘পোর্ট অব কল’ ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দরকেই অর্থাৎ যাবতীয় মাসুল চট্টগ্রাম বন্দরই পাবে।
মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কৃত্রিম চ্যানেল খনন করে জাহাজ ভেড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। পরে সেটিকে সমুদ্র বন্দরের রূপ দিতে কাজ শুরু করে সরকার। জাপানের সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।