বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খোকনের বিরুদ্ধে ‘মোটা অঙ্কের’ টাকা নেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:১২

বাদী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্তদের (উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ী) পক্ষে অভিযোগ করেছি। তবে জবানবন্দি না নেয়া পর্যন্ত কিছুই বলব না।’

রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে দোকান বরাদ্দ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) তালিকাভুক্তির কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আশেক ইমামের আদালতে মামলা করার জন্য অভিযোগ জমা দেন মার্কেটের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দিলু।

অভিযোগটি নেয়ার পর প্রাথমিক শুনানিতে আদালত জানায়, বাদীর জবানবন্দি এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

এ বিষয়ে বাদী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্তদের (উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ী) পক্ষে অভিযোগ করেছি। তবে জবানবন্দি না নেয়া পর্যন্ত কিছুই বলব না।’

দোকানের জন্য ডিএসসিসিকে নিয়মিত ভাড়াও দিয়ে আসছেন বলে সাংবাদিকদের জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, ৮৬ মাসের ভাড়া পরিশোধ করেছেন। মেয়র খোকনের আমল থেকেই টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে।

মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, মামুন নামে এক সহযোগীকে দিয়ে টাকা নিয়েছেন সাঈদ খোকন। তারা এখন পথে বসতে চলেছেন।

বরাদ্দ অবৈধ জানিয়ে দোকানিদের উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন। ছবি: নিউজবাংলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের মালিকানাধীন ওই মার্কেটের তিনটি ব্লকে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান রয়েছে জানিয়ে গত ৮ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

ডিএসসিসির উচ্ছেদ দলের সঙ্গে ওই দিন দোকান মালিক ও কর্মচারীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। পরে কয়েক দিন ধরে চালানো উচ্ছেদ অভিযান কয়েকশ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।

দোকানিরা ওই সময় জানিয়েছিলেন, দোকানগুলো তাদের ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়। আর এ জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে এককালীন টাকাও দেয়া হয়। তাদের হিসাবে তাদের মালিকানা বৈধ। হঠাৎ কীভাবে অবৈধ হয়ে গেল, সেটা বুঝতে পারছেন না।

তবে ডিএসসিসির দাবি, এগুলো নকশাবহির্ভূত। কিছু দোকান মূল বিপণি বিতানের শৌচাগার, লিফটের জায়গা ও হাঁটার পথে তৈরি করা হয়েছে।

দোকানের বরাদ্দ নিয়ে এর আগে সাঈদ খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ৯১১টি দোকানের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ম্যাক্সিমাম বৈধ। এই দোকানিদের অনেকে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে একটা নির্দেশনা আসে তাদের সমস্যা নিষ্পত্তি করার জন্য।’

তিনি জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সিটি করপোরেশনে বোর্ড সভা ডাকেন। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কেটের নকশা সংশোধনের উদ্যোগ নেন। আর যেগুলো দোকানের কারণে চলাচলের অসুবিধা হয় সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, ‘যেগুলো দোকানকে সে সময় বৈধতা দেয়া হয়েছে, সেগুলোকেও এখন সিটি করপোরেশন ভাঙছে। এটা অন্যায়।’

টাকা নেয়ার অভিযোগের প্রশ্নে সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা শুধু সাত মাসের ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া নিয়ে রশিদ দিয়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমাদের এই লেনদেন।’

‘কে কাকে কোথায় টাকা দিয়েছে এটা তারা বলতে পারবে। এটা আমাদের জানার বিষয় না’, বলেন সাবেক মেয়র।

এ বিভাগের আরো খবর