বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চসিক পাহাড় কেটেছে, অভিযোগ পরিবেশ অধিদপ্তরের

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৫৬

বাটালি হিল পাহাড় রক্ষা প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অবৈধভাবে পাহাড় কেটেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নামে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পাহাড় কেটেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিলের উত্তর পাশে চসিকের বিন্না ঘাস প্রকল্প। কিন্তু পাহাড়ের পাদদেশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নামে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ফুট পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। নিচের দিকে কেটে ফেলায় পাহাড়ের উপরের অংশ থেকে মাটি সরে পড়ছে।

বাটালি হিল কাটার কোনো ধরনের অনুমোদন চসিক নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী অপরিহার্য স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে পাহাড় কাটা যাবে। চসিকের প্রয়োজন হলে তারা অনুমতি নিতে পারে। কিন্তু বাটালি হিলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পাহাড় কাটার কোনো অনুমোদন নেয়নি চসিক।

‘আমরা শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ এর খ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইবে না: তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে কোনো পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইতে পারে।

আইনের ১৫ ধারার উপধারা ৫-এ শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রথম বার সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয় বার অপরাধ করার শাস্তি অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা।

বিন্না ঘাস প্রকল্পের পরিচালক ও চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি আমার অধীনে হলেও সীমানা প্রাচীর তৈরি করেছে চসিকের প্রকৌশল শাখা। আপনারা প্রকৌশল শাখার ডিভিশন-১-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

প্রকৌশল শাখার ডিভিশন-১-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাহাড় রক্ষায় আড়াই মিটার গভীরতার একটি সীমানা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। তবে এর জন্য পাহাড় কাটা হয়নি।

প্রতিবেদক গিয়ে পাহাড় কাটা দেখতে পেয়েছেন জানালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আর কোনো মন্তব্য করেননি।

সরকারি সংস্থা হয়েও চসিক অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটায় নিন্দা জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

পরিবেশবিদ ও বাংলাদেশ পরিবেশন আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি ইদ্রিছ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাহাড়টি রক্ষার জন্য বাটালি হিলে বিন্না ঘাস লাগানো হয়েছে। এখন আবার সীমানা প্রাচীরটি নির্মাণের জন্য পাহাড়ের পাদদেশ কেটে ফেলা হয়েছে।

‘এটা কেবল আইওয়াশ। আসলে চসিক পাহাড়টি কেটে ফেলতে চায়।’

তিনি আরও জানান, এর আগেও বাটালি হিলের পাদদেশ কেটে সিটি করপোরেশন ভবন তৈরি করেছে। পাহাড়ের উপর অবৈধ বস্তি স্থাপনে অনুমতি দিয়েছে। আসলে ধীরে ধীরে বাটালি হিল শেষ করে দেয়া হবে। সরকারি সংস্থা হয়েও সিটি করপোরশন এই কাজটি করছে, যা খুবই নিন্দনীয়।

ইদ্রিছ আলী বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর একটি দুর্বল সংস্থা। তারা পাহাড় কেটে ফেলার পর আসে জরিমানা করতে। জরিমানা করলেও বেশির ভাগ সময় সেগুলো আদায় করতে পারে না।’

এ বিভাগের আরো খবর