বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯৫ বছর বয়সী হাসেরার ইভিএম অভিজ্ঞতা

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০৫

‘প্রথমবার টিপ দিয়া ভোট দিছি। অনেক কম সময় লাগছে। এতদিন কাগজে সিল মাইরা ভোট দিছি। তহন অনেক সময় লাগতো। ভুলও হইতো। এহন এত বয়স হইয়া গেছে তাও ভোট দিতে সমস্যা হয় নাই। জীবনের শ্যাষ সময় মেশিনে ভোট দিয়া খুব ভালো লাগতাছে।’

বয়সের ভারে ন্যুজ হাসেরা বেগম। চলাফেরায় স্বাধীনতা কমেছে। এর মধ্যে ভোটের দামামা। কেন্দ্রে নেই গোলযোগ আবার শুনেছেন এবার ভোট হবে অন্য রকম। মেশিনে চেপে নির্বাচন করতে হবে জনপ্রতিনিধি। তাই কেন্দ্রে আসেন ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে।

ধামরাই পৌরসভার আমবাগান এলাকার বাসিন্দা তিনি। হাঁটতে হয় লাঠিতে ভর দিয়ে। চলাচলের বাধা ডিঙিয়ে শীতের মধ্যেও হাসেরা এসেছেন ভোট কেন্দ্রে।

সোমবার সকালে কুমড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন হাসেরা। তাকে দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আনসার সদস্যরা। কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, আর ভোট দেয়া শেষে রিকশায় তুলে দেয়ার কাজটি করেছেন তারাই।

হাসেরা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমবার টিপ দিয়া ভোট দিছি। অনেক কম সময় লাগছে। এতদিন কাগজে সিল মাইরা ভোট দিছি। তহন অনেক সময় লাগতো। ভুলও হইতো। এহন এত বয়স হইয়া গেছে তাও ভোট দিতে সমস্যা হয় নাই। জীবনের শ্যাষ সময় মেশিনে ভোট দিয়া খুব ভালো লাগতাছে।’

হাসেরাকে সহায়তা করেন আনসার সদস্য আকবর আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই বৃদ্ধা ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কথাও বলতে পারেন না। তারপরও লাঠিতে ভর দিয়ে তিনি ভোট কেন্দ্রে আসেন। পরে প্রিজাইডিং অফিসার তাকে ভোট প্রদানে সহযোগিতা করেন। ভোট শেষে আমি তাকে ধরে এনে কেন্দ্রের বাইরে রিকশায় তুলে দেই।’

রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলা বলেন, ‘সকালে আমবাগানে রিকশা নিয়া বইয়া রইছি। উনি নিজে থাইকা আইছে। হ্যার নাতিন আর আরেকজন লোক আছিল সাথে। পরে তারে ধইরা রিকশায় উঠায় দিছে। পরে এহানে আইসা ভোট দিয়া আবার আমার রিকশায় নিয়া হ্যার বাড়িতে যাইতেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর