তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রাজনীতিককে এবার মেয়র পদে বসাল চুয়াডাঙ্গা শহরবাসী।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক পেয়ে বাজিমাত করলেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেতা জাহাঙ্গীর আলম খোকন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে কখনও ভোটে না হারা এই নেতার জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো সন্দেহ কখনও ছিল না। এবার গোটা শহরের সমর্থন লাভের চ্যালেঞ্জ কীভাবে তিনি মোকাবিলা করেন, সেটা ছিল দেখার বিষয়। সে চ্যালেঞ্জে তিনি জয়ী হলেন অবলীলায়।
জাহাঙ্গীর বলতে গেলে উড়িয়ে দিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের। অবশ্য সুবিধা করে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যকার বিভেদ।
এখানে বিএনপির দুই জন নেতা ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। একজন ধানের শীষ প্রতীকে, আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করেছেন আরেকজন। তাদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় সহজ জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা।
নৌকা নিয়ে জাহাঙ্গীর পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৩৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মজিবুল হক মজু মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন সাত হাজার ৬৯৭ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১৪ হাজার ৬৪২।
এখানে ধানের শীষ নিয়ে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম মনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৮৭ ভোট।
অর্থাৎ বিএনপির প্রার্থী একজন থাকলেও জাহাঙ্গীরকে মোকাবিলা করা যেত না। দুই নেতা যত ভোট পেয়েছেন, তার চেয়ে নয় হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী।
সকাল আটটা থেকে বেলা চারটা পর্যন্ত শহরে ভোট চলে একটানা। দেশের অন্য ২৩টির মতো এখানেও ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের অনীহা দেখা দিলেও এবার তারা কেন্দ্রে এসেছেন দল বেঁধে।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদ জানান, নয়টি ওয়ার্ডে ৩৩টি কেন্দ্রে ৬৭ হাজার ৭৭৪ জন ভোটারের মধ্যে কেন্দ্রে এসেছেন প্রায় ৪৫ হাজার ভোটার।
ভোট প্রদানের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ।