ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা ও ভাতিজা শঙ্খজিৎ কুমার সিনহা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকার মহানগর চার নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আদালত ১৩ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চার নম্বর বিশেষ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফারুক উজ্জামান ভুইয়া টিপু সাক্ষীদের সহায়তা করেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুল ইসলাম সাক্ষীদের জেরা করেন। এ সময় আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার ও ফারুক আহম্মেদ তার সঙ্গে ছিলেন।
নরেন্দ্র কুমার সিনহা ও শঙ্খজিৎ কুমার সিনহাকে নিয়ে মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটি নিয়ে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বিদেশ থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন দিনি। এ মামলার বিচার চলছে তাকে পলাতক দেখিয়ে।
মামলার ১১ আসামির মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে আছেন।
অন্য আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।
আর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ আগস্ট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই মামলাটি করেন। মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এস কে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন।