দিনাজপুর ফুলবাড়ী পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ভোটে নেমে বাজিমাত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ আলম লিটন। গত দুই বারের মেয়র ফুলবাড়ী কয়লাখনি আন্দোলনের নেতা মরতুজা সরকার মানিককে হারিয়ে চমক তৈরি করেছেন তিনি।
দেশের সব জায়গায় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটে ভালো করলেও ফুলবাড়ীকে ব্যতিক্রম বলা যায়। দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়েছে।
সোমবার বিপুল ভোটারের উপস্থিতিতে নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে সাত হাজার ৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন।
লিটন এক জন ব্যবসায়ী। তিনি সরাসরি রাজনীতি না করলেও তার ভাই খুরশীদ আলম মতি ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। অবশ্য এই নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে ছোটভাইয়ের পক্ষে নেমে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তিনি।
লিটন এতদিন রাজনীতি না করলেও ভোটে জিতলে বিএনপিতে যোগ দেবেন বলে আগেই নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন।
এই পৌরসভায় ভোটারের উপস্থিতি এত বেশি ছিল যে, নির্ধারিত সময় বিকাল চারটার পরেও সেখানে ভোট নিতে হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর রহমান প্রামাণিক।
তিনি জানান, লিটনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জগ প্রতীকে মরতুজা সরকার মানিক পেয়েছেন সাত হাজার ৪০ ভোট।
২০০৬ সালে ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত কয়লাখনি আন্দোলনের নেতা মানিক গত দুটি নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিতেছিলেন। তার আশা ছিল এবার টানা তৃতীয় জয় পেয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।
এখানে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাজা মঈন উদ্দীন পেয়েছেন তিন হাজার ৪৬০ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকে শাহাদৎ হোসেন তিন হাজার ৪২ ভোট পান।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২৭ হাজার ৯৩১ জন। এদের মধ্যে ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ২৮৯ জন। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
পৌর শহরের ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৯৪টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে সবার ভোট নেয়া সম্ভব না হওয়ায় অতিরিক্ত দেড় ঘণ্টা ভোট হয়েছে।