বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমজমাট নির্বাচনে ফুরফুরে ইসি

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৫২

নির্বাচন শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে ভোট খুবই ভালো হয়েছে। সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। সে হিসেবে বলাই যায় সাকসেসফুল নির্বাচন হয়েছে।’

অনিয়ম আর ভোটে কারচুপি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে ৪২ নাগরিকের চিঠির মধ্যেই ২৪ পৌরসভায় ভোটের দামামা। তবে সোমবার দিনভর কেন্দ্রগুলোতে বিপুল ভোটার উপস্থিতি এবং বড় ধরনের কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভোট শেষ হওয়ায় স্বস্তিতে কমিশন।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সন্ধ্যায় ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নির্ভার চিত্তে, কণ্ঠেও ছিল উচ্ছ্বাস।

‘আমাদের দৃষ্টিতে ভোট খুবই ভালো হয়েছে। সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। সে হিসেবে বলাই যায় সাকসেসফুল নির্বাচন হয়েছে।’

গত কয়েক বছরের বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার খরা দূর হয়েছে এবারের পৌর নির্বাচনে। সকাল থেকেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা যায় বেশিরভাগ কেন্দ্রে। চাপ সামলাতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ভোট চলেছে বিকেল ৪টার পরও।

এ বিষয়টিতেও স্বস্তিতে ইসি। কমিশন সচিব বলেন, ‘সারাদিন যা ভোট পড়েছে তা থেকে আমরা বলতে পারি কোথায়ও ৬০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েনি। কোনো কোনো পৌরসভায় ভোট পড়েছে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ।’

ইসি সচিব মো. আলমগীর

বেশিরভাগ পৌরসভাতেই নির্বিঘ্ন ভোট হলেও পঞ্চগড়ে রিটার্নিং কর্মকতার গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কেন্দ্রে ইভিএম ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মানিকগঞ্জের একটি কেন্দ্রেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘পঞ্চগড়ে নির্বাচনি কর্মকর্তার উপর হামলার যে ঘটনা তা এখনও লিখিত আকারে আসেনি। মৌখিকভাবে আমরা শুনেছি সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর হয়েছে এবং একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

‘সীতাকুণ্ডে দুষ্কৃতকারীরা ইভিএম কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল, সে সময় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে ভোট চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, ‘দুই-তিন জায়গায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে কিছু সমস্যা হতে পারে, কিন্তু যেখানে ভোট হয়েছে সেখানে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। ভোট নিতে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।’

চালনায় ফল স্থগিত

ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের খানের মৃত্যুতে স্থগিত করা হয়েছে খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের ফল। সেখানে নতুন করে ভোট হবে কি না- সে বিষয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘৩টা ৩২ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নির্বাচনি এজেন্ট জানিয়েছেন। তবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৩টা ৫০মিনিট।

‘আইন বলে, মেয়র পদে নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে চালনা পৌরসভায় মেয়র পদে ফল স্থগিত করে বিষয়টি কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্তে নেবেন।’

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন কমিশন সচিব।

চালনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ কারণে তিনি ভোটের প্রচারে ছিলেন না, ভোট দিতেও যাননি। তবে মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিলের পর কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সেখানে নতুন করে ভোট হয়। তবে ভোট শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রার্থীর মৃত্যুর উদাহরণ না থাকায় বিষয়টিতে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর