বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার টিকা বানাতে চান জাফরুল্লাহ চৌধুরী

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৪৩

‘ভ্যাকসিন আসলে কে কয়টা পাবেন, সেটা আপনারা দেখেছেন। আমি মনে করি, এ কাজ অনেক সহজ হতো, সরকার যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্পৃক্ত করত। কম্পোলসারি লাইসেন্স বলে একটা নিয়ম আছে, এটা সুযোগ নিয়ে আমরা ব্যাপক আকারে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি।’

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি করোনার যে টিকা আবিষ্কার করেছে, সেটি উৎপাদন করতে চান গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বলেছেন, নিজেরা উৎপাদন করতে পারলে দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে টিকা পেতে পারত।

সোমবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শীতকালে করোনা প্রতিরোধ ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহর পরামর্শ টিকার বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যেন সম্পৃক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসলে কে কয়টা পাবেন, সেটা আপনারা দেখেছেন। আমি মনে করি, এ কাজ অনেক সহজ হতো, সরকার যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্পৃক্ত করত। কম্পোলসারি লাইসেন্স বলে একটা নিয়ম আছে, এটা সুযোগ নিয়ে আমরা ব্যাপক আকারে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি।’

প্রযুক্তি পেলে করোনার টিকা উৎপাদনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। ঔষধ প্রশাসন জানিয়েছে, দেশে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা জানেন অক্সফোর্ডে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু তারা কখনও এটাকে প্যাটেন্ট করেনি। তারা মনে করেছিল, জনসাধারণের জন্য পেনিসিলিন উন্মুক্ত থাকবে। পেনিসিলিন যে পাত্রে আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার একটি পাত্র গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দান করেছিন। প্রতীকী অর্থে তারা বলতে চেয়েছিল গণস্বাস্থ্যও যেন এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ড. ইউনুস ও অন্যান্য নোবেল লরিয়েটরা যদি অক্সফোর্ডকে বলতো, তোমরা অতীতের মতো সহযোগিতা করো তাহলে আমরা দেশেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারতাম। দেশের প্রতিটা লোক ভ্যাকসিন পেত।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এন্টিবডি কিট আবিষ্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরাই বিশ্বের প্রথম মার্চ মাসে এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছিলাম। শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতো, জাফরুল্লাহ জবর কাজ করেছো। কিন্তু সরকার প্রতিটা পদে পদে আমাদের কাঁটা বিছিয়েছেন। এখনও আমরা এন্টিবডি কিটের অনুমোদন পাইনি। আমাদের কিটের অনুমোদন দিলে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হতো।’

এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করতে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এ ১০ কোটি টাকা দিয়ে আমরা অনেক বেশি গরিব মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারতাম।’

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থের কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদির আহমেদ ও আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এ বিভাগের আরো খবর