কুমিল্লার শুভপুরের এক তরুণ স্থানীয়ভাবে আলোচিত হয়ে উঠেছেন এক উপহার গ্রহণ করে। তার জন্য কম্পিউটার পাঠিয়েছেন খোদ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
এই তরুণের স্বপ্ন, তিনি আউটসোর্সিং করবেন। এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেকে ঝালাই করেও নিচ্ছিলেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্বল্প আয়ের বাবার পক্ষে কম্পিউটার কিনে দেয়া সম্ভব ছিল না।
এই অবস্থায় শাহাদাত হেসেন শাকিল শেখ হাসিনাকে এসএমএস পাঠান। আর সাধের কম্পিউটারও পেয়ে যান তিনি।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর তার কাছে কম্পিউটারটি হস্তান্তর করেন।
শাকিলের বাড়ি কুমিল্লার শুভপুরে। তিনি কুমিল্লা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে গ্রাফিক্স ডিজাইনে কোর্স করেছেন।
তার বাবা আব্দুল হালিম পেশায় একজন স্বর্ণকার। শাকিল গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করতে চান। কিন্তু কম্পিউটারের অভাব তিনি স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কায় ছিলেন।
গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে এসএমএস করেন শাকিল। তিনি লিখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার একজন সাধারণ কর্মী। নিজেদের কোনো ভিটেমাটি নেই। শুধুমাত্র খেয়ে বাঁচার জন্য একটু সহযোগিতা চাই- শাহাদাত হোসেন শাকিল।’
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর জানান, এসএমএস পেয়ে জেলা প্রশাসনকে শাকিলের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিসি বলেন, ‘গত পাঁচ-ছয়দিন পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ শাকিলের বিষয়ে খবর নিতে বলেন এবং কী হলে ছেলেটির উপকার হয় তা জানতে চান। আমরা ছেলেটির ঠিকানা বের করে তাকে ডিসি অফিসে আসার জন্য বলি। তার কী হলে ভালো হয়, তা জানতে চাই। শাকিল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পারে বলে জানান। তাই তাকে কম্পিউটারটি উপহার দেই।’
পুরো বিষয়টি এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে শাকিলের কাছে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে এসএমএস করে সাড়া পাব ভাবতে পারিনি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমার গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জানা আছে। আর্থিক টানাপড়েন ছিল, তাই এসএমএস করি। আর তাতেই মেলে সাড়া।’
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে এস এম এস করে ময়মনসিংহের এক স্বল্প আয়ের মানুষ রিকশা উপহার পেয়েছেন। তার আয়ের একমাত্র উপায়টি চুরি হয়ে যাওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ম্যাসেজ পাঠান।
বছর দুয়েক আগে ঈদুল আজহার সময় এসএমএস পেয়ে জামালপুরের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য গরু উপহার পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এসএমএস পেয়ে ফেনীতে স্কুল ভবনও করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।