ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের খানের মৃত্যুতে স্থগিত হলো খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল। সেখানে নতুন করে ভোট হবে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর সোমবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এই তথ্য জানান।
আবুল খায়ের করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এ কারণে তিনি ভোটের প্রচারে ছিলেন না। ভোট দিতেও যাননি।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খায়েরের এজেন্ট আব্দুল মান্নান খান কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এর তিন ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তাদের প্রার্থীর মৃত্যুর কথা জানান।
আইন অনুযায়ী তফসিলের পর কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সেখানে নতুন করে নির্বাচন হয়। তবে ভোট শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রার্থীর মৃত্যুর উদাহরণ না থাকায় বলা যাচ্ছিল না চালনায় কী হবে।
এমনকি রিটার্নিং কর্মকর্তা এম মাজাহারুল ইসলামও নিশ্চিত ছিলেন না কী করবেন তিনি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।’
নির্বাচন কমিশন সচিব মো আলমগীর বলেন, ‘তিনটা ৩২ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নির্বাচনী এজেন্ট জানিয়েছে। তবে মেডিকেল সার্টিফিকেটে মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা হয়েছে তিনটা ৫০ মিনিট।
এই নির্বাচন বাতিল হবে কি না, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সচিব। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মেয়র পদে নির্বাচন বাতিল করে নতুন ভোট করতে হয়। তবে চালনা পৌরসভায় মেয়র পদে ফল স্থগিত পরবর্তী বিষয়ে কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্তে নেবেন।’