নীতিমালার মাধ্যমে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে একটি নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার সকালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে হয় মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক। এতে গণভবন প্রান্ত থেকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকারে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন নীতিমালার মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনা চলত। এতে বেশি কিছু অসুবিধা হচ্ছিল।’
সচিব জানান, এ আইন কাযর্কর হলে কোনো হজ ও ওমরা এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলে বাংলাদেশেও সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
‘২০১১ সাল থেকে সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে অনেক দেশ আইন প্রণয়ন করেছে। ২০১২ সালে মন্ত্রিসভা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এই আইন করতে।’
আইনের খসড়া অনুযায়ী হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ ছাড়া হজ এজেন্সি অনিয়ম করলে আইন অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হজ ও ওমরা এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে বলেও জানান আনোয়ারুল।
হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে নিবন্ধন খোয়ানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ ১৫ লাখ পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘অনিয়মের জন্য পর পর দুই বছর ওয়ার্নিং দেওয়া হলে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে।’