বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালে বিশাল আরেক বোমা

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:১৭

এ নিয়ে চলতি মাসে দেশের প্রধান বিমানবন্দর থেকে মোট চারটি বোমা উদ্ধার করা হলো। এ বোমাটির ওজনও আগের গুলোর মতো ২৫০ কেজি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে কাজ চলাকালে আবারও বিশাল আকৃতির আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সোমবার দুপুর ১টার দিকে বোমাটি উদ্ধার করে বলে নিউজবাংলাকে জানান বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান।

এ নিয়ে চলতি মাসে দেশের প্রধান বিমানবন্দর থেকে মোট চারটি বোমা উদ্ধার করা হলো। এ বোমাটির ওজনও আগের গুলোর মতো ২৫০ কেজি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল চত্ত্বর থেকে এর আগে ৯, ১৪ ও ১৯ ডিসেম্বর একই আকৃতির তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

বিমানবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে বোমাগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে বিমান হামলা করলে ভারত সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে ভারত ছিল মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর ভূমিকায়।

ভারত যুদ্ধ ঘোষণার পর গঠন হয় ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী। আর ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থল হামলার পাশাপাশি বিমান হামলাও চালায়।

ঢাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানিদের বিমান ঘাঁটি তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা ঘাঁটির রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা। ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের হামলায় পাকিস্তানি বাহিনী পর্যদুস্ত হয়ে পড়ে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামছুল আলম (বীর উত্তম) ধারণা করছেন, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বরের পর ভারতীয় বিমানবাহিনী যে হামলা করে, তখন এই বোমাগুলো পড়তে পারে।

শাহজালালে আরও বোমা পাওয়া গেলে ‘অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না’ বলেও মনে করেন শামছুল আলম।

বাংলাদেশের বহর কিলোফ্লাইট থেকে এই বোমা পড়েনি সেটা কীভাবে বুঝবেন- এমন প্রশ্নে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘কিলো ফ্লাইটের অটার বিমানে আমরা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করিনি। আর ঢাকায় আমরা অ্যাটাকও করিনি। তাই এগুলো যে আমাদের ফেলা না, তা আমি শতভাগ নিশ্চিত।’

বোমাগুলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর ছিল বলে জোর ধারণা কিলো ফ্লাইটের আরেক সদস্য ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদের (বীর উত্তম)।

সম্প্রতি নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় মূল বিমানবন্দরগুলোতে হামলা চালানোর কাজটি করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। কারণ বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর তখনও মূল বিমানবন্দরে হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা ছিল না। আমাদের যে হেলিকপ্টার ছিল তার গতি ছিল ৮০ মাইল। যে অটার বিমানটি ছিল সেটার গতি ছিল সর্বোচ্চ ১১০ মাইল। এগুলো নিয়ে হামলা চালানো খুবই বিপজ্জনক ছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর