সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় হেলপার রশিদকে জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভোরে বুঙ্গাইরগাঁও থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, রশিদকে পিবিআই সিলেট কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।শনিবার বিকেলে দিরাই উপজেলার মদনপুর সড়কের সুজানগর এলাকায় বাসে ওই ঘটনা ঘটে। পরে অজ্ঞাতপরিচয় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মামলায় বলা হয়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বাসে সুনামগঞ্জের দিরাই আসছিলেন ওই ছাত্রী। সুজানগর এলাকায় তিনি ছাড়া বাকি যাত্রীরা নেমে গেলে বাস ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় বাসটির চালক ও হেলপার মিলে তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
ধর্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন ছাত্রী। এতে সড়কের পাশে পড়ে আহত হন তিনি।
সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের বাস ছিল সেটি।মেয়েটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘সিলেটের লামাকাজীতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ে জামাই ওকে দিরাইয়ের একটি বাসে তুলে দেয়। সুজানগর এলাকায় আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় চালক ও তার সহকারী। আমার মেয়ে বাঁচার জন্য গাড়ি থেকে লাফ দিলে হাতে ও মাথায় আঘাত পায়।’দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, গ্রামবাসী আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেয়েটিকে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।দিরাই পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে দিরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।