রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নয় জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মাত্র তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত নয় জন হলেন আরিফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আরিফ হোসেন ওরফে শাহিন, হাসান মিয়া, ইমতিয়াজ হোসেন, নাজমুল হাসান ওরফে অপু, রুহুল আমিন, আলমগীর হোসেন ও সৈয়দ মিজানুর রহমান।
রায়ের সময় আরিফুল, ইমতিয়াজ ও মিজানুর আদালতে ছিলেন। রায়ের পর সাজার পরোয়ানাসহ তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার সময় এই মাদক কারবারি দলটির কথা জানতে পারেন।
১৭ জানুয়ারি ভোর চারটার দিকে তারা জানতে পারেন, যশোর থেকে যমুনা সেতু পার হয়ে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে বিশাল একটি ফেনসিডিলের চালান বেড়িবাঁধ এলাকা হয়ে পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় প্রবেশ করবে।
ডিবির দলটি বেলা দুইটার দিকে দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজার ২৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার হাসান দারুস সালাম থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই শরীফুল ইসলাম খান।
একই বছরের ১০ মার্চ তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ৩০ মে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।