দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে যেন মানুষের সামাজিক মর্যাদাহানি না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে বলেছেন দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
রোববার দুদকের মহাপরিচালক ও পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘মানুষের মর্যাদাহানি হয়, এমন কার্যক্রম করা যাবে না। মানুষের সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দুদকের কাজে গতি আনতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের নির্দেশও দেন দুদক সচিব।
তিনি বলেন, কমিশনের কার্যক্রম মনিটরিং ও দ্রুত করার ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
দুদকের সব সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত কাগজপত্র ইলেকট্রনিক নথিতে (ই-নথি) উপস্থাপনের নির্দেশনা দেন সচিব।
তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ই-নথিতে অবশ্যই এ জাতীয় সব নথি উপস্থাপন করতে হবে। এর কোনো ব্যত্যয় চলবে না।
কর্মীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান নবনিযুক্ত সচিব।
‘কর্মকর্তাদের সুচিন্তিত, সুপরিকল্পিত বিরামহীন কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বিকশিত করতে হবে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি জনআস্থার সর্বোচ্চ শিখড়ে পৌঁছে যাবে। দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে মানুষের আস্থা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
‘আপনাদের প্রত্যেকের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারিত রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেয়াই সমীচীন হবে বলে আমরা মনে করি।’
দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেলের উপস্থাপনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কমিশনের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক জহির রায়হান, তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক জাকির হোসেন ও পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।