বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আত্মসমর্পণের পর পাপুলের স্ত্রী-কন্যার জামিন

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩১

মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে কুয়েতে বিচারের মুখোমুখি পাপুল। দুর্নীতি দমন কমিশন দেশেও তার অবৈধ সম্পদের খোঁজে। এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, তার স্ত্রীসহ ছয় জনের ৬৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের ও অর্থ-পাচার আইনে করা আরেক মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।

দুই আসামিকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আবার আদালতে যেতে হবে।

সেলিনা নিজেও একজন সংসদ সদস্য। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

মানবপাচারসহ নানা অভিযোগে পাপুল কুয়েতে বন্দি।

রোববার মেয়েকে নিয়ে এসে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সেলিনা। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী প্রাণ নাথ।

একই আদালতে হওয়ায় দুটি মামলার শুনানি একসঙ্গে করেন বিচারক।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় এর আগে পাপুল ও তার স্ত্রীসহ ছয় জনের ৬৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেয় আদালত।

দুদকের করা মামলায় ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ও পল্টন থানায় সিআইডির করা মামলায় ৫৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের কথা জানানো হয়েছে।

তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩০.২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টার কার্যালয়েও চিঠি দিয়েছে কমিশন।

বিচারিক আদালতে আসার আগে দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন। তখন তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয়া হয়।

কুয়েতে বিচারের মুখোমুখি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যকাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল

বিচারক কে এম ইমরুল শুনানি শেষে বলেন, ‘এইসব ব্যাংক হিসাবের কোনো সঠিক উৎস আদালতে দেখাতে পারেননি। তবে সেলিনা ইসলাম একজন সংসদ সদস্য এবং ওয়াফা ইসলাম বিবিএর ছাত্রী। তার ছাত্রত্ব ও বয়স কম হওয়ায় এসব ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে তার কোনো দায়িত্ব থাকতে পারে না।’

‘এছাড়া এই মামলার অভিযোগ জামিনযোগ্য হওয়ায় আগামী ১১ ফেব্রূয়ারি ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেয়া হলো’- নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে লেখেন বিচারক ইমরুল কায়েশ।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত কোটির বেশি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এরপর বিষয়টি আলোচনায় আসে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন গত ১১ নভেম্বর পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার স্ত্রী-কন্যা ছাড়াও আসামি করা হয় শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বলা হয়, পাপুলের শ্যালিকার পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই টাকা পাচার হয়। অথচ মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই তরুণীর নিজের আয়ের উৎস নেই।

এফডিআর হিসাবের দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকারও উৎস দেখাতে পারেননি জেসমিন।

আসামিদের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিরা আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন। উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। আদালতের ওপর ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আসামিরা জামিন নিতে এসেছিলেন।’

এ বিভাগের আরো খবর