বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে হাত গুটিয়ে ডাক্তার, ভোগান্তিতে রোগীরা

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৬

‘আমি হার্টের রোগী। বুকে অনেক ব্যথা। এখন আমি যদি মরি তাইলে এর দায়িত্ব কে নিব? ডাক্তারদের দাবি থাকতেই পারে, রোগীদের সেবা দিয়া অন্য আন্দোলনে যাইতে পারে না?’

চিকিৎসকদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ধর্মঘট করছেন চিকিৎসক ও ইন্টার্নরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঘোষণা ছাড়াই জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলো সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রার্থী ও তাদের স্বজনেরা।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খানের প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে যৌথভাবে এই ধর্মঘট ডেকেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘গত শুক্রবার দুপুরে এক নারী রোগীর মৃত্যুর জেরে তার স্বজনেরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের ওপর হামলা চালায়।’

ধর্মঘটে ফাঁকা হাসপাতাল। ছবি: নিউজবাংলা

ডা. মাহফুজের অভিযোগ, পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের রক্ষা না করে উল্টো মারধর করে। এ সময় জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

‘ওই দিনের ঘটনায় জড়িত পুলিশদের বিচার, ইন্ধনদাতা ওসি রেজাউল ইসলাম খানের প্রত্যাহার এবং জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদারের দাবিতে এই ধর্মঘট।’

চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে অপেক্ষায় থাকা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। বুকে অনেক ব্যথা। এখন আমি যদি মরি তাইলে এর দায়িত্ব কে নিব? ডাক্তারদের দাবি থাকতেই পারে, রোগীদের সেবা দিয়া অন্য আন্দোলনে যাইতে পারে না?’

এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা বন্ধ। এখন আমাদের ময়মনসিংহ যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। কিন্তু পথের খরচ কীভাবে ম্যানেজ করব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

রোগীদের এসব দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি ডা. মাহফুজ।

ওসি রেজাউল জানান, ওই হামলার ঘটনায় মামলা করেছেন ডা. মাহফুজ। আসামি করা হয়েছে মৃত রোগীর স্বজন, পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানসহ কয়েকজনকে। এর মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়ে কোনো পুলিশ সদস্য বাড়াবাড়ি করলে তার বিচার হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এসপি দেলোয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর