বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউন্টারে শ্রমিকদের হামলায় বিআরটিসি বাস বন্ধ

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৪৭

বিআরটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই রুটে এতোদিন যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছিল পরিবহন মালিকরা। বিআরটিসির বাস চালু হওয়ায় তাদের ব্যবসা কমে যেতে পারে এই ভয়ে বাধা দিচ্ছে।

সিলেট-শ্রীমঙ্গল ও সিলেট-হবিগঞ্জ সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চালু হওয়ার থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।

রোববার সকাল নয়টায় সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে দুটি বাস শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

হুমায়ুন রশীদ চত্বরে বিআরটিসি কাউন্টারের ম্যানেজার শুভ আহমেদের অভিযোগ, একটি বাস কাউন্টার ছেড়ে গেলেও পথে আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। আরেকটি ছাড়ার আগেই শতাধিক শ্রমিক বিআরটিসির কাউন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় ডিপো ম্যানেজারকে লাঞ্ছিত করে তার সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

২২ ডিসেম্বর এই রুটে বিআরটিসি বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। তবে তখন পরিবহন ধর্মঘট চলায় ২৭ তারিখ থেকে বাস চলাচলের ঘোষণা দেয়া হয়।

তবে পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, দুই রুটেই পর্যাপ্ত বাস আছে। বিআরটিসি ইচ্ছা করলেই যে কোনো সড়কে বাস সার্ভিস শুরু করতে পারে না। এটি তাদের আইন পরিপন্থি। বাস চালুর ব্যাপারে এই দুই রুটের মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করেনি বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। তাই তারা এসব রুটে বিআরটিসির বাস চলতে দেবে না।

বিআরটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই রুটে এতোদিন যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছিল পরিবহন মালিকরা। বিআরটিসির বাস চালু হওয়ায় তাদের ব্যবসা কমে যেতে পারে এই ভয়ে বাধা দিচ্ছে।

সিলেট ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার আলী নিউজবাংলাকে জানান, শ্রমিকরা কাউন্টার থেকে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেটের কোষাধ্যক্ষ শামসুল হক মানিক বলেন, ‘আমাদের কয়েক জন সদস্য কাউন্টারে গিয়ে বাস চলাচলে আপত্তি জানিয়েছে কিন্তু কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেনি। তবে এই রুটে আমরা বিআরটিসির বাস চলতে দেবো না। বাস চালাতে চাইলে কঠোর আন্দোলনে যাব।’

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ বাস চালাতে চাইলে পুলিশ তাদের সহায়তা করবে।

ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার আলী জানান, তারা পুলিশি পাহারায় বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব জেলায় এমনকি উপজেলা পর্যায়েও বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালুর সরকারি নির্দেশনা আছে। তাই কোনো আপত্তিই গ্রহণযোগ্য হবে না। বাস চলবে।

তিনি জানান, সিলেট-মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল ও সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে প্রতি দিন ছয়টি করে মোট ১২টি বাস চলবে। বাসগুলো ছাড়বে সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে। তবে প্রথম পর্যায়ে এই দুই রুটে দুইটি করে মোট চারটি গাড়ি চলাচল করবে। সবগুলো বাসই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

এ বিভাগের আরো খবর