বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিকশাচালককে ‘পুলিশের নির্যাতন’, মহাসড়ক অবরোধ

  •    
  • ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:৫৬

রায়হানকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে শুক্রবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে এক অটোরিকশাচালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা।

রিকশাচালক রায়হানের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে হেমায়েতপুর একেএইচ গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নেয়ার সময় তাকে হ্যাকসো ব্লেড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

রায়হান অভিযোগ করেন, ‘আমি এই জায়গায় রিকশা নিয়া আইছি। পরে রিকশা আটকাইয়া আমার সামনের চাকা কাইটা দিছে। আমি হ্যারে আটকাইতে গেছি। তখন কয়, এই ব্যাডা তুই আমারে আটকাইতাছোস দাঁড়া।

‘এই কথা কয়্যা হ্যাচকো বেলেড দিয়া আমার পায়ে মারছে কুব। মাইরা পিছনের দুইটা টায়ার কাইটা দিছে। পরে গাড়িতে চাবি আছিল, হেডাও নিয়া গ্যাছেগা। হাইওয়ে পুলিশ একজন সিভিলে আছিল।’

রায়হানকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এতে সড়কটির উভয় পাশে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা অভিযোগ করেন, একেএইচ গার্মেন্টসের সামনের ইউটার্নে সবসময় হাইওয়ে পুলিশ রিকশা ধরে। এরপর পুলিশ ২২০০ টাকা করে নেয়; রিকশাও নিয়ে যায়।

আশুলিয়া থানা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সাভার-আশুলিয়ায় অন্তত ৩০ হাজার চালক আছে অটোরিকশার। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে টাকার জন্য তাদের নির্যাতন চালায়। চাকার টায়ার কেটে দেয়, মিটার ভেঙে ফেলে। কখনও কখনও মারধরও করে। কিন্তু চালকরা বিচার পায় না।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হেমায়েতপুর এলাকায় দায়িত্বে থাকা ট্যানারি ফাঁড়ি ইনচার্জ জাহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আসলে বিষয়টা আইডেন্টিফাই করতে পারতেছি না। সবসময় আমাদের গাড়িতে ৩-৪ জন থাকে। আমরা যেহেতু ওখানে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, সে কারণে তারা বিক্ষুব্ধ হতে পারে।’

টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২২০০ টাকা র‌্যাকার বিল করে জেলা পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ ওখানে র‌্যাকার বিল করে না। হাইওয়ে পুলিশ ওখান থেকে ধরলে ট্রাকে করে নিয়ে আসে।’

এ বিভাগের আরো খবর