দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার রাত থেকেই আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বলছে, এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে দুই-তিন দিন কমতে থাকবে রাতের তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে এখন কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে আছে।
‘কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এটা কিছুদিন স্থায়ী হবে। এই শৈত্যপ্রবাহ একসঙ্গে সারা দেশে বইবে না। এরপর ১৫-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।’
এর আগে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। গত শনিবার দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝে দুই-তিন দিন শৈত্যপ্রবাহ ছিল না।
রাত থেকেই কমবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা। ফলে দেশে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও শনিবার রাত থেকে তাপমাত্রা নামতে থাকবে। এই শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশসহ দক্ষিণ অঞ্চলে বইতে পারে।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের উত্তর পশ্চিমাংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কৃষি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী সাত দিন দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে আট থেকে ১০ ডিগ্রি এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে থাকে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চার ডিগ্রির নিচে নামলে সেটা অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।