ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি ভেঙে নতুন রূপে গড়ার যে উদ্যোগ, তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘প্রত্যাশা, মতামত ও সুপারিশ’ জানতে চেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টিএসসির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সুপারিশ যেন দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে https://forms.gle/GnfMKXKS1NBVZGND7 এই ওয়েবলিংকে গিয়ে মতামত দেয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ক সুপারিশ জানানো যাবে।
ষাটের দশকে নির্মিত টিএসসির দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটির নকশা করেছিলেন গ্রিক স্থপতি কনস্ট্যান্টিন ডক্সিয়াডেস। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের আমলে ভবনটির নির্মাণ শেষ হয়।
এই স্থপতি টিএসসির পাশাপাশি ঢাকায় হোম ইকোনমিকস কলেজ, কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমিসহ কিছু স্থাপনার নকশা করেছেন। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের নকশা তৈরি করা হয় তার নেতৃত্বেই।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে তিনি আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান।
৩০ সেপ্টেম্বর এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ও উপাচায়ের ওই বক্তব্যের পর টিএসসি ভবন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়। তবে শিক্ষক শিক্ষকদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করছেন।