বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যবসায়ীর টাকা লুট: এসআই-কনস্টেবল গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৪৩

গাড়ি কিনতে গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে যাওয়া এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, তার কাছে ইয়াবা আছে বলে আটক করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য ও তাদের তিন সহযোগী। মামলা করার পর এক এসআই ও এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে চাকরি থেকে।

চট্টগ্রামে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে ব্যবসায়ীর দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।

ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সীতাকুন্ডে।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যবসায়ী মামলা করার পর গ্রেপ্তার হন উপপরিদর্শক সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছে।

মামলার আসামি মোট পাঁচ জন। অন্য তিন আসামি হলেন পুলিশের দুই সোর্স রিপন ও হারুন এবং গাড়িচালক রাজু।

মামলার বাদী গাজীপুরের গাছা এলাকার আবু জাফর থানায় দেয়া অভিযোগে লেখেন, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে একটি পিকআপ ভ্যান কিনতে সীতাকুন্ডে যান তিনি। দরদামে না মেলায় বাড়ির পথ ধরেন।

পৌর সদর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পর শ্যামলী বাস কাউন্টারে পুলিশের তিন জন সোর্স তাকে ইয়াবা কারবারি উল্লেখ করে ভয়ভীতি দেখান।

এক সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন এসআই সাইফুল ও কনস্টেবল সাইফুল। তারা নিজেদের গোয়েন্দা পরিচয় দেন। ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে আবু জাফরকে সীতাকুণ্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।

হাসপাতালে গিয়ে তারা দাবি করেন ইয়াবা আছে পেটে। কিন্তু এক্সরে করে না পেলেও জাফরকে গাড়িতে করে নিয়ে ঘুরতে থাকেন।

এ সময় পুলিশ সদস্যরা জানতে পারেন, জাফরের কাছে টাকা আছে। তখন মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সেই টাকা ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে তুলে দেয়া হয়।

জাফর সে রাতে গাজীপুরে বাড়িতে চলে আসেন। পরে মামলা করতে আবার যান সীতাকুন্ডে। আর অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় থানা।

সীতাকুন্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

সম্প্রতি মাদক সম্পৃক্ততার পাশাপাশি মাদক নিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে ফৌজদারি মামলা।

এ বিভাগের আরো খবর