বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসের ড্রামে লাশ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৩৭

গত ২০ নভেম্বর রাতে গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে বাসের ভেতর ড্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।

বরিশালে বাসের মধ্যে ড্রাম থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার মামলার প্রধান আসামিকে এক মাস চার দিন পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার ভোরে ধরা পড়েছেন আব্দুল খালেক হাওলাদার। তাকে বরিশাল বন্দর থানার হিজলতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

খালেকের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলারার পশ্চিম বিবিরপাড় এলাকায়। তিনি নগরীর কাশিপুরে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের কেয়ারটেকার।

শুক্রবার নগরীর রুপাতলীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বরিশালের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।

এসপি হুমায়ুন জানান, গত ২০ নভেম্বর রাতে গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে বাসের ভেতর ড্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২১ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।

আলোড়ন তোলা এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে নারীর পরিচয় বের করে থানা পুলিশ ও পিবিআই। জানা যায় তার নাম সাবিনা বেগম। পরে তাকে হত্যার স্থান বের করে পিবিআই। শনাক্ত করা হয় খালেককে। ঘটনায় পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।

গত ২০ নভেম্বর বরিশালগামী একটি বাসের ড্রামে নারীর মরদেহ পাওয়ার ঘটনাটি তোলপাড় তোলে

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, কাশিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার নির্মানাধীন যে ভবনে খালেক কেয়ারটেকার ছিলেন সেখানেই সাবিনাকে হত্যা করা হয়। এরপর ড্রামে করে মরদেহ বাসে করে ভুরঘাটা আনা হয়।

খালেকের বরাত দিয়ে এসপি জানান, সাবিনার স্বামী সহিদুল ইসলাম কাতারে থাকেন। খালেকের স্বজনদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলে সাবিনা তার কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তবে কাউকে বিদেশে পাঠাননি সাবিনা, আবার টাকাও ফেরত দেননি। এর জেরে খালেক তাকে হত্যা করেন।

খালেক মরদেহ রাখার জন্য ব্যবহার করা ড্রাম ও হত্যায় ব্যবহৃত রড শনাক্ত করেছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে খালেকের স্ত্রী রহিমাকে ২২ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর