পাকিস্তানের কারাগারে দেড় বছর আটক থাকার পর দেশে ফিরেছেন আট বাংলাদেশি।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তারা বৃহস্পতিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
প্রায় দেড় বছর আগে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে পাকিস্তান জলসীমায় চলে যান এ প্রবাসীরা। পরে তাদের আটক করে পাকিস্তান কোস্টগার্ড।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসুচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের সবার বাড়ি নোয়াখালী। তারা হলেন- মো. শহিদ, মো. ইউসুফ, মোহাম্মদ খান, মো. শরিফ, মো. শাহরাজ, মো. নবির, আবুল কাশেম ও দেলোয়ার।
দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহায়তায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের খাবার পানিসহ জরুরি সেবা দেয়া হয়। ব্র্যাকের সাইকোসোসাল কাউন্সিলর এ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনোসামাজিক সেবা দেন। পরে আট জনকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ব্র্যাক জানায়, এই আট বাংলাদেশি কর্মী বৈধভাবে ওমানের একটি ফিশিং বোটে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এরপর পাকিস্তানি কোস্ট গার্ড তাদের আটক করে।
সম্প্রতি তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। করাচির বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সিন্ধ প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় সরকারি খরচে বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের অনুমোদন দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।