ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিননামা বিচারিক আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
কাজলের আইনজীবী জায়েদুর রহমান বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের আদেশ জমা দেন।
আইনজীবী জায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জামিননামাটি আমরা আদালতের জুডিশিয়াল মুন্সিখানায় জমা দিয়েছি। আজ (বৃহস্পতিবার) সেটি কারাগারে পৌঁছালে আশা করছি, আগামীকাল সাংবাদিক কাজল কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করবেন।'
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় সাংবাদিক কাজলকে জামিন দেয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা আরেক মামলায় কাজলকে গত ২৪ নভেম্বর জামিন দেয় হাইকোর্ট।
শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনকে আসামি করে গত ৯ মার্চ মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় একই আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ১০ মার্চ সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। এরপর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে ভারতীয় সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবি সদস্যরা কাজলকে আটক করেন বলে জানানো হয়।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। পরদিন এই মামলায় কাজলের জামিন হলেও কোতোয়ালি মডেল থানায় করা মামলাসহ অন্যান্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।