বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু: চিকিৎসক পরিবারকে সহায়তা শিগগির

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৩

গত নয় মাসে দেশে ১১২ চিকিৎসক মারা গেছেন বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দুই একটি পরিবার আর্থিক অনুদান পেয়েছে। সরকারের ঘোষণা ছিল পদভেদে চিকিৎসক পরিবার ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবে।

করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসব চিকিৎসক মারা গেছেন, তাদের পরিবারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তবে আপাতত সরকারি চিকিৎসকদের পরিবারই এই সহায়তা পাবে। বেসরকারি খাতের চিকিৎসকদের পরিবারের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে চিকিৎসা সেবা পেতে ব্যাপক হয়রানিতে পড়েন রোগীরা। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরেও সেবা না পেয়ে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সরকার ঘোষণা দেয়, করোনাকালে রোগীর চিকিৎসায় কাজ করা কর্মীদেরকে বিশেষ সুযোগ ‍সুবিধা দেয়া হবে।

জানানো হয়, রোগীর সেবা করতে গিয়ে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা দেয়া হবে। কেউ মারা গেলে তার পদভেদে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়া হবে। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

গত ৯ মাসে দেশে ১১২ জন চিকিৎসক মারা গেছেন বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দুই একটি পরিবার আর্থিক অনুদান পেয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঘোষণা অনুযায়ী প্রাণ হারানো চিকিৎসকের পরিবারের পাশে থাকবে সরকার। তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে মারা যাওয়া সরকারি চিকিৎসকের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে তারা সরকার ঘোষিত অর্থ পেয়ে যাবে।’

বেসরকারি খাতের যে চিকিৎসকেরা মারা গেছেন, তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী, সেটিও তুলে ধরেন মন্ত্রী। বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা এ সুবিধা পাবেন না। তাদের জন্য অন্যকিছু করা যায় কি না- সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা করা হবে।’

বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই কাজ সম্ভব হয়েছে, চিকিৎসাদের মাধ্যমে। তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এটা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে করোনা চিকিৎসা দিতে পারছি এবং নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা আগমনের শুরুতে এই ভাইরাসের বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না। আমরা চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে ১৬৩ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা দেশে আসবে বলে আবার জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন ভ্যাকসিন তৈরি ও অনুমোদনের অপেক্ষা। আমাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ সব প্রস্তুতি রেখেছি।’

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও আঘাত হানেনি বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই৷ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো৷ মৃত্যুর হারও কম৷ এর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ৷’

এ বিভাগের আরো খবর