লক্ষ্যমাত্রার আগেই ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’-এর দৈনিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আশা ছিল আগামী জানুয়ারিতে এই মাইলফলক অতিক্রম করবে। তবে আগের মাসেই তা অর্জিত হওয়ায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত তারা।
প্রতিষ্ঠার দেড় বছরের মধ্যে এই মাইলফলকে পৌঁছাকে ভীষণ আনন্দের বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
তিনি জানান, প্রচলিত সব পরিসেবা যাতে ‘নগদ’-এ পাওয়া যায় তার জন্য তারা ‘সব হবে নগদ-এ’ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। বলেন, ‘সে জন্য প্রতিদিনিই আমরা অসাধ্য সাধনের আশায় কাজ করছি। মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# নম্বরে ডায়াল অ্যাকাউন্ট খোলা পৃথিবীর আর কোথাও সম্ভব না হলেও ‘নগদ’ সেটি সম্ভব করেছে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছরেরও কম সময়ে ১২ হাজার মার্চেন্টকে ‘নগদ’ নেটওয়ার্ক যুক্ত হয়েছে। এতে আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের সুবিধা। ফলে কেনাকাটার ডিজিটাল লেনদেনে ‘নগদ’-ই এখন সেরা পছন্দ।
নগদ এমডি বলেন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ সব রকম পরিষেবার বিল প্রদান কোনো রকম বাড়তি খরচ ছাড়া ‘নগদ’-এ করা যাচ্ছে। ২০০-এরও বেশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কোম্পানির বিল প্রদান এবং মোবাইল ফোন অপারেটরে রিচার্জ এবং বিভিন্ন প্যাকেজ কেনা এখন নিমিষের ব্যাপার।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন রকমের আর্থিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ, সরকারি বিভিন্ন অনুদান ও ভাতার টাকাও যাবে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে। এর ফলে উপকারভোগীরা সুফল পাবেন। কারণ তাদের টাকায় অন্য কেউ ভাগ বসাতে পারবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে, তার ১৭ লাখই বিতরণ করা হয় ‘নগদ’ এর মাধ্যমে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মদিনে দুস্থ নারীদের মধ্যে ভাতা বিতরণও করা হয় ‘নগদ’ দিয়ে।
মহামারির সময়ে মানুষ যাতে ঘরে বসেই ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে ‘নগদ’ ওয়ালেটে টাকা আনতে পারে তার ব্যবস্থা করে ‘নগদ’। করোনার টেস্টের ফি প্রদান প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে আর কোনো অপারেটর এগিয়ে না আসলেও একমাত্র ‘নগদ’ এই সেবাটি চালু করে। ফলে ঘরে বসে করোনা পরীক্ষার ফি প্রদান, কিংবা কোনো বুথে গিয়েও করোনা পরীক্ষার ফি প্রদান হয়ে যায় ঝামেলামুক্ত। পাশাপাশি দুই লাখের বেশি গার্মেন্টস কর্মীর বেতন-ভাতা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে করোনার সময়।