ভারতের নয়াদিল্লিতে আন্দোলনে অংশ নেয়া কৃষকদের কম্বল পাঠাতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি কৃষকদেরকে জন্য দুই হাজার কম্বল পাঠানোর ইচ্ছার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব দিলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনে এই চিঠি পৌঁছে দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
বাংলাদেশে ভারতের দূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে দেয়া এই চিঠিতে জাফরুল্লাহ লেখেন, নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। সেখানে আন্দোলনরত ৩৭ জন কৃষক মারা গেছেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অথবা হাইকমিশনারের সুবিধাজনক যেকোনো তারিখে কৃষকদের জন্য উপহার গ্রহণ করলে কৃতার্থ হবেন বলেও লেখেন জাফরুল্লাহ।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা তার চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
যুদ্ধকালে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বিশ্রামগঞ্জের মেলাঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ ফিল্ড হসপিটাল গড়ে তোলা হয়। সেখানে কাজ করেন জাফরুল্লাহ, যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে যুক্তরাজ্য থেকে চলে আসেন।
‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের উদার সহযোগিতার জন্য আমরা ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নয়াদিল্লীতে শীতার্ত কৃষকদের জন্য বাংলাদেশের গ্রামীণ তাঁতীদের হাতে তৈরি দুই হাজার কম্বল দিতে চাই।’
ভারতের নতুন তিনটি কৃষি আইন পাসের প্রতিবাদে নভেম্বরের শেষ দিকে মাঠে নামে দেশটির কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষক মিছিল করে রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থান নিয়েছে। তীব্র শীতের কারণে তারা দুর্দশায় পড়েছেন।
চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভারতের একজন কট্টর সমালোচক।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি মানববন্ধনে তিনি ভারতীয় কৃষকদের জন্য কম্বল দেয়ার আগ্রহের কথা জানান। সেদিন তিনি বলেন, ‘ভারতে শৈত্যপ্রবাহে ৩৭ কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার আমাদের অনুমোদন দিলে তাদের কৃষকদের জন্য আমরা দুই হাজার কম্বল পাঠাতাম। মোদি সরকার দেশের জনগণকে অবহেলা করছে।’
দেশেও নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে কয়েক হাজার কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র।