হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে চার দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয় তারা।
স্মারকলিপি দেয়া শেষে জোটভুক্ত সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা দাবিগুলো জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্যার বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা যাবে না। করোনা পরিস্থিতির জন্য এ সিদ্ধান্তে থাকতে হচ্ছে।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি দেয়ার আগে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমাদের চার দফা দাবি নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী গ্রামে থাকেন। তাদের হল ছাড়া অন্য কোথাও থাকার সামর্থ্য নেই। তাই হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের চার দফা দাবি
১. আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নিতে হবে।
২. ছাত্রলীগের ‘দখলদারিত্ব’ মুক্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে হল খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. অতিরিক্ত হারে সেশন ফি ও অন্যান্য ফি এবং জরিমানা নেয়া বন্ধ করতে হবে।
৪. পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চললেও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের সেশন জটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। কিন্তু অনার্স শেষ করতে না পারায় পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালে সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আবাসিক হল বন্ধ রেখে অনার্স শেষ বর্ষ এবং মাস্টার্সের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জোরালো হয়।