কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে উপহাসমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
মেয়র সাক্কু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মেয়র সাক্কু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন কায়সার। এ সময় দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আমিরুজ্জামান আমির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল কাউয়ুমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি মেয়র সাক্কুর একটি সাক্ষাৎকার ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়র সাক্কু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন উপহাসমূলক কথা বলছেন।
এর প্রতিবাদেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মো. নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, মেয়র সাক্কু মাঠ থেকে উঠে আসা একজন বিএনপি নেতা। তার কাছে দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিএনপির কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। উল্টো আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে পুলিশের পাশাপাশি তার পালিত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা ও হয়রানি করেছেন।
নিজাম উদ্দিন কায়সার আরও বলেন, ‘মেয়র সাক্কু নিজে ভালো থাকার জন্য দলের আদর্শকে বিকিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাকে বলতে চাই, আপনি দলের জন্য কাজ না করলেও দলের কোনো ক্ষতি হবে না।’
তিনি মেয়র সাক্কুর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘কাজ করতে না পারলে চুপ থাকেন। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান আমাদের অস্তিত্ব ও বিশ্বাস। আপনি, আমি তাদের নামের ওপর কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত। তাদের নিয়ে আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নাহয় দলের পদসহ কুমিল্লার মানুষের ধানের শীষ প্রতীকের ভোটে নির্বাচিত মেয়র পদ থেকে আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি গত ৪২ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। কখনও দলের সঙ্গে বেঈমানি করিনি। আমার যেই ভিডিও নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে, সেটি ছিল ৫২ মিনিটের। সেটাকে এডিট করে ২ মিনিটের বক্তব্য বানিয়ে ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কার বাড়িতে হামলা করেছি, তাদের প্রমাণ দিতে বলেন। মূলত সামনে মহানগর বিএনপির কমিটি হবে। এজন্য আমাকে বিতর্কিত করতে এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে।’