বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দীপন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য সমাপ্ত

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১২

ফয়সল আরেফিন দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে খুনিরা পালিয়ে যায়।

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।

ফজলুর রহমানকে আদালতে সহায়তা করেন সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. গোলাম ছারোয়ার জাকির।

সাক্ষ্য শেষে ফজলুর রহমানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন, মো. জাকির হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম।

এ নিয়ে মামলাটিতে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা করা হলো। আগামী ৪ জানুয়ারি ফৌজদারি র্কাযবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্য পরীক্ষা করবে আদালত।

ট্রাইব্যুনালের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. গোলাম ছারোয়ার জাকির বলেন, এ মামলায় সর্বাধিক সংখ্যক সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।

ফয়সল আরেফিন দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে খুনিরা পালিয়ে যায়। কিছুসময় পর দ্বীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হক দ্বীপনকে খুঁজতে আসেন। তিনি প্রকাশনা অফিসের বন্ধ দরজার বাইরে বারান্দায় গড়িয়ে পড়া রক্তের ধারা দেখেন। দরজা খুলে দ্বীপনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি।

এরপর মার্কেটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় শাহাবাগ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দ্বীপনের রক্তাক্ত মৃতহে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ওই দিনই দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক থাকায় গত ১৯ মার্চ একই ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। এরপর এ বছরের ১৬ মে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর