বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাপুলদের ৬১৩ ব্যাংক হিসাব জব্দ, জমি-ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৭

পাপুলসহ অন্য আসামিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩০.২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টার কার্যালয়েও চিঠি দিয়েছে কমিশন।

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের আট ব্যাংকের ৬১৩টি হিসাব জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এরই মধ্যে ব্যাংক হিসাব জব্দের চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে দুদক।

একই সঙ্গে তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩০.২৭ একর জমি ও গুলশানের ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টার কার্যালয়েও চিঠি দিয়েছে কমিশন।

এর আগে মঙ্গলবার পাপুল, তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন থানায় মামলা করে সিআইডি। একই মামলায় তার স্বজনসহ আরও পাঁচ জন ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়।

সিআইডির মামলায় অন্য আসামিরা হলেন পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন ও লিটনের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা।

দুটি প্রতিষ্ঠনের মধ্যে একটি জে ডব্লিউ লীলাবালী পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে। অন্যটি পাপুলের ভাই লিটনের প্রতিষ্ঠান। এটির নাম জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মঙ্গলবার দুপুরে পল্টন থানায় মামলাটি করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন।

বাদী আল আমিন হোসেন জানান, তিনি পাপুলসহ সব আসামি ও দুই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী সাদিকুর রহমান মনির দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাজের জন্য কুয়েত যেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে নগদ ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা নিতেন।

মনিরের রূপালী ব্যাংক, রাজারবাগ শাখার একটি হিসাবে ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের নানান স্থান থেকে ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা জমা হয়। এগুলো কুয়েত যেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে নেয়া।

এই অর্থ পাপুল, তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে পরিচালিত ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও উত্তোলন হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সাদিকুর রহমান মনিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জেসমিন প্রধানের অ্যাকাউন্ট ও তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে সাদিকুর রহমান মনিরের ব্যাংক হিসাব থেকে পাপুলের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং পাপুলের প্রতিষ্ঠান ফোর পয়েন্ট হাউজিং ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

সাদিকুর রহমান মনিরের অ্যাকাউন্ট থেকে পাপুলের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ওয়াফা ইসলামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাফা জেনারেলের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

‘জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল’ এর মালিক কাজী বদরুল আলম লিটন পাপুলের আপন ভাই। তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা পাপুলের এই মানবপাচার ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।

মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা বিচারাধীন। আগামী ২৮ জানুয়ারি তার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর সেসহ তার স্ত্রী, শ্যালিকা ও মেয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক।

এ বিভাগের আরো খবর