একজন বিচারক ছুটিতে যাওয়ার পর শান্ত হয়েছে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের পরিস্থিতি, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছেন আইনজীবীরা।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর মঙ্গলবার আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভূঁইয়াকে দুই ঘণ্টা হাজতে আটকে রাখার আদেশ দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন বুধবার সকাল থেকেই সিএমএম আদালতের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন রুবেলের সহকর্মীরা।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসাদুজ্জামান নুরের এজলাস কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে তালা লাগিয়ে দেন ঢাকা বারের আইনজীবীরা।
বিচারক নুরের অপসারণ দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ সিএমএম আদালতের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর আদালতের ফটকের বাইরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। আদালতে বিচার কাজে তৈরি হয় অচলাবস্থা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিচারক নুরের ছুটিতে যাওয়ার খবরে শান্ত হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে বেলা ১২টার দিকে মুখ্য মহানগর হাকিম এএম জুলফিকার হায়াতের সঙ্গে সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসানসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাদের বৈঠক হয়।
মুখ্য মহানগর হাকিম সমিতির নেতাদের জানান, আসাদুজ্জামান নুরকে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে ভুক্তভোগী আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, মামলার কাজে মঙ্গলবার তিনি বিচারক নুরের আদালতে যান। সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন জানানো হলেও ১১টা পর্যন্ত তিনি আসেননি।
‘পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক আমাকে পরে আসতে বলেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিচারক আমার আইনজীবীর সনদ বাতিলের হুমকি দেন।’
একপর্যায়ে দুই ঘণ্টা আদালতের হাজতে রাখার আদেশ দেন বিচারক।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। এক জন আইনজীবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ৬০ হাজার আইনজীবী মানবে না।’