বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা: এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে কুড়িগ্রামবাসী

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৩৮

শিক্ষার্থীরা বলছে, এতদিন বানভাসী ও অভাবিদের জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল কুড়িগ্রাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম কুড়িগ্রামকে সারা দেশে তুলে ধরতে পারবে।

কুড়িগ্রামে সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণার পর থেকে আলোড়িত জেলাবাসী। সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের আনন্দ উত্তরের এই পিছিয়ে পড়া জেলার বাসিন্দাদের চোখেমুখে।

এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্দীপ্ত শিক্ষার্থীরা। জেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিষ্টি ও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিবুল বলছে, এতদিন বানভাসী ও অভাবিদের জেলা হিসেবে পরিচিত ছিল কুড়িগ্রাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম কুড়িগ্রামকে সারা দেশে তুলে ধরতে পারবে।

অভিভাবক রেবেকা বেগম বলেন, সংসারে টানাপোড়েনের জন্য অনেকে সন্তানদের বাইরে পড়ানোর সুযোগ পেতেন না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঘরে থেকেই তারা লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

কুড়িগ্রাম সফরে গিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে কোনো দিন এই এলাকায় মঙ্গা থাকবে না। এই শব্দ মানুষ ভুলে যাবে। এই কুড়িগ্রামে সরকারি বা বেসরকারিভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো।’

এরপর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় গত সোমবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর থেকে কোন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান কেতার মোড় এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা

জেলা সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের কেতার মোড় এলাকার বাসিন্দা মোজাফফর আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর প্রশাসনের লোকজন এখানে এসে জায়গা দেখে গেছেন। এরপর আবার শুনতে পাই কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের টগরাইহাট এলাকাতেও জায়গা দেখা হয়েছে। তবে আমরা চাই কেতার মোড়েই বিশ্ববিদ্যালয়টি হোক।’

তার মতে, চিলমারী-গাইবান্ধায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু হলে কেতার মোড় থেকে ঢাকার সঙ্গে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। টগরাইহাটে হলে কুড়িগ্রাম-রংপুর হয়ে ঢাকা যেতে হবে। কুড়িগ্রাম শহরের ওপর চাপ পড়বে।

অন্যদিকে টগরাইহাটের বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, ‘শহর থেকে টগরাইহাট কাছাকাছি হওয়ায় আমরা চাই এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় হোক।’

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান টগরাইহাট এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশনা আসলেই সেই মোতাবেক আমরা কাজ করব। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে জায়গা নির্ধারণ করা হবে।’

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত ও অভাবি এলাকার কলঙ্ক ঘুচে যাবে বলে মনে করছেন সমাজকর্মী আব্দুল কাদের। বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর