বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কী ঘটেছে অবশ্যই তদন্ত করব: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২২:১৫

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও দায়িত্বে অবহেলায় নাসরিন আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ এনে হাসপাতালটির ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে মামলা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও দায়িত্বে অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ এনে করা মামলায় নিজের নাম থাকাকে পুরোপুরি অযৌক্তিক মনে করছেন হাসপাতালটির ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

মঙ্গলবার নাসরিন আক্তার নামে ওই প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজের আদালতে করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালকে। অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক নাসরিন, শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ দেলোয়ার হোসেন ও সেবিকা শংকরী রানী সরকার।

মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হাসপাতালটির ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একজন ট্রাস্টি মাত্র। এখানে যারা চিকিৎসক বা তাদের পরিচালক আছেন, তারা এগুলো সব সময় পর্যবেক্ষণ করেন। ঘটনা কী ঘটেছে আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।

‘কিন্তু সরাসরি যুক্ত না থাকার পরও আমার নাম থাকাটা একেবারেই অযৌক্তিক। হয়তো তারা ভেবেছেন- আমার নাম দেয়া হলে পত্র-পত্রিকায় আসবে। এজন্যই হয়তো আমার নাম দেয়া হয়েছে।’

এস এ আলম সবুজের আইনজীবী রোকেয়া রহমান নিউজবাংলাকে জানান, মঙ্গলবারই ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের ২১ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মামলার আবেদনে সবুজ বলেছেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করান। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার সময় দায়িত্বরত সেবিকা শংকরী রানীকে জানান। তবে তিনি গুরুত্ব দেননি।

রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে শংকরী রানীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন সবুজ। তখন শংকরী রানী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকরী রানী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে সবুজকে জানান। কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাসরিনকে দেখার জন্য সেখানে আসেননি। এক পর্যায়ে শংকরী রানী স্যালাইন, ব্যথানাশক ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

সবুজ সাংবাদিকদের বলেছেন, রোগীর মৃত্যুর পেছনে কিছু অবহেলা আছে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা প্রথমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছিল। তবে পরে আর কোনো রকম সাড়া দেয়নি।

সবুজ অভিযোগ করে জানান, আসামিরা তাকে হুমকি দিয়ে ঘটনা নিষ্পত্তি করতে বলেন। পরে ১৭ ডিসেম্বর তিনি ধানমন্ডি থানায় গেলে তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে তিনি আদালতকে মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর