বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ শক্তিশালী, সমৃদ্ধশালী ও অগ্রগতিশীল একটি দেশ। বাংলাদেশ শুধু ভারতের বন্ধুই নয়, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি মহান দেশ। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বকে উদাহরণ দেবেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা নিয়ে কীভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করা যায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব শুধু ইতিহাস-সংস্কৃতি ও ভৌগলিকভাবেই সম্পৃক্ত নয়। এই সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছে রক্ত ও উৎসর্গের মাধ্যমে। এই সম্পর্ক রক্তের।’
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতের মিত্রবাহিনীর যৌথ বীরত্বগাঁথার স্মৃতি সংরক্ষণে সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে।
দোরাইস্বামী বলেন, এই স্মৃতিস্তম্ভ বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও আবেগের প্রতীক। আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি যে, সীতাকুণ্ডে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নয়, একইসঙ্গে ভারতের সেনা যোদ্ধাদেরও সম্মানিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চেতনার অপর নাম বঙ্গবন্ধু। এটিই বাংলাদেশের সারমর্ম এবং একে অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। এটি বাংলাদেশের মানুষের দায়িত্ব। যে চেতনা এসেছে রক্ত থেকে, জীবন উৎসর্গ করার মধ্য থেকে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে এটিকে অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। যারা বাংলাদেশের এই চেতনাকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায়, তারা বাংলাদেশের বন্ধু নয়।’
এর আগে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, নগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড অফিসার দীপ্তি আলংঘাট, ভারতীয় হাই কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে নিযুক্ত সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও সেকেন্ড সেক্রেটারি শুভাশীষ সিনহা উপস্থিত ছিলেন।