বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৬

আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে আমি স্বস্তি প্রকাশ করছি । এতে আমি ছেলে হত্যার বিচার দ্রুত পাব বলে আশা প্রকাশ করছি।’

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার ১ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান এই তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে বর্তমান বিচারিক আদালত থেকে বদলি করে অন্য যেকোনো বিচারিক আদালতে বিচার শুরুর আদেশ দাখিলের তারিখ রাখা ছিল। তবে ২২ জন আসামির পক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে তাদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি, এই মর্মে অ্যাডভোকেট সনদ জমা দেন ।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে সনদ জমা দিয়ে শুনানি করেন আসামি অনিক সরকারের আইনজীবী মাহবুব আহমেদ। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো এবং রেজাউল করিম সরকার ছাড়া অন্য আইনজীবীরা মাহবুব আহমেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন । শুনানি শেষে বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২৭ ডিসেম্বর থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে তারিখ জানিয়ে দেন।এ পর্যন্ত মামলাটিতে ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। এদের ৮ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার তাদেরকেও আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এই মামলার তিন আসামি শুরু থেকেই পলাতক।

২২ আসামির আইনজীবীদের উচ্চ আদালতে করা আদালত পরিবর্তনের আবেদন সোমবার অনুমোদন না করায় স্বস্তি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহামান্য উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তে আমি স্বস্তি প্রকাশ করছি । এতে আমি ছেলে হত্যার বিচার দ্রুত পাব বলে আশা প্রকাশ করছি।’

২৭ ডিসেম্বর মামলার ৪০ নম্বর সাক্ষী গোয়েন্দা পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক এ কে এম নাজমুল হক এবং মামলার ৪১ নম্বর সাক্ষী বুয়েট শিক্ষার্থী আব্দুল মবিন ইবনে হাফিজ সাক্ষ্য দিতে আসবেন।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

এ বিভাগের আরো খবর