বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাজ্যে ফ্লাইট বন্ধে সিদ্ধান্ত হয়নি

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:৪৬

বিদ্যমান করোনা মহামারি ঠেকাতে বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন যুক্তরাজ্য থেকে নতুন প্রজাতির করোনার শনাক্তের খবর এসেছে। দেশটির থেকে জানানো হয়েছে করোনার যেকোনো ধরন থেকে নতুনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।

যুক্তরাজ্যে মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরনের খবরে লন্ডনের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দিলেও এ বিষয়ে বাংলাদেশে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মহিবুল হক।

‘বাংলাদেশ এখনও বিষয়টা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা বিষয়টির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। আমরা সময়মত সিদ্ধান্তটা সবাইকে জানিয়ে দেব।’

বিদ্যমান করোনা মহামারি ঠেকাতে বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাজ্য থেকে নতুন প্রজাতির করোনা শনাক্তের খবর এসেছে। দেশটির থেকে জানানো হয়েছে করোনার যেকোনো ধরন থেকে নতুনটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।

এই খবর পাওয়ার পরই ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও। পুঁজিবাজার ও জ্বালানি তেলের দামের সূচক নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।

নতুন প্রজাতির করোনা ছড়ানোর খবরে বাংলাদেশও শঙ্কিত বলে জানালেন সচিব।

নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করতে পারলে বাংলাদেশ পারছে না কেন? সচিবের জবাব, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ যেমন করছি পর্যালোচনাও করছি। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তটা খুব দ্রুত জানাব।’

করোনার নতুন ধরন থেকে রক্ষা পেতে সকল দেশের সঙ্গে আকাশ পথের পাশাপাশি স্থলপথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব, ওমান ও কুয়েত।

তবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেনি বলে জানালেন মুহিবুল।

‘আমরা কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করিনি। তারা যেহেতু আমাদের এক্সসেস দিচ্ছে না সে কারণে আমাদের বিমান যেতে পারছে না।’

ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশে গমনেচ্ছুদের যে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সচিব জানালেন বিষয়টি বাংলাদেশের এখতিয়ার বহির্ভূত।

তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা করতে পারি, যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আমরা কোনো রকম ফি ছাড়াই তাদের এই টিকিট আবার রি ইস্যু করে দেব। তখন তারা কোনো রকম বাড়তি পয়সা ছাড়াই আবার যেতে পারবে।’

অতীতেও যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানে এ ধরনের সহযোগিতা ছিল, ভবিষ্যতেও তা সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সচিব।

এ বিভাগের আরো খবর