চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে ভারত সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
সোমবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা জানান।
বন্দর চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ‘হাইকমিশনার বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সহায়তার ব্যাপারে ভারতের আগ্রহের কথা আমাদের জানিয়েছেন।’
পণ্যবাহী চারটি কনটেইনার দিয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশের পণ্য পরিবহনে বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায়ই জাহাজজট লেগে থাকে। একটি জাহাজ থেকে পণ্য নামাতে অন্তত ছয় দিন সময় লাগে। চট্টগ্রাম বন্দরের এখন যে অবস্থা, তাতে নিজ দেশের ব্যবসায়ীদেরই সেবা দিতে পারছে না। এর মধ্যে ভারত যদি পণ্য আনা-নেয়া শুরু করে, তাহলে বন্দর সচল থাকবে কি না, সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ভারতকে বন্দর ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত। ভারত যে পরিমাণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করবে, সেই সক্ষমতা চট্টগ্রাম বন্দরের রয়েছে।
বন্দরের সক্ষমতা নিয়ে এমন প্রশ্নের মধ্যেই সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করল ভারত।
সাক্ষাৎ শেষে ভারতের হাইকমিশনার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত-ই-খুদা, বন্দর সচিব ওমর ফারুক, টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের সিওও ক্যাপ্টেন তানভীর।