নওগাঁর রাণীনগরের বিল মুনছুরের পাশে প্রায় দুই হাজার বিঘা জমিতে ফসল ফলিয়ে সংসার চালান আতাইকুলা গ্রামের দেড় হাজার কৃষক।
ফসল বাড়িতে নেয়ার জন্য গ্রামের বিশ্ববাঁধ তজের মোড় থেকে বড়ধর খাল পর্যন্ত আছে একটি মাত্র রাস্তা। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকতে থাকতে তা পরিণত হয়েছে জমিতে।
বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বিভিন্ন জমির আইল দিয়ে ঘুরে, কখনো হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে ফসল বহন করতেন কর্মীরা। তাতে সময় ও শ্রম বেশি লাগত বলে মজুরিও বেশি দিতে হতো কৃষকদের। বেড়ে যেত ফসলের উৎপাদন খরচ। আর বর্ষায় এর সঙ্গে যোগ হতো দুর্ভোগ।
গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, বাড়তি খরচ ও দুর্ভোগ কমাতে সব কৃষক মিলে হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেন।
স্থানীয়দের সহায়তায় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে শুরু করেন মাটি কাটা।
কৃষক রনজিত সাহা বলেন, টানা ১৫ দিন কাজ করে রোববার দেড় কিলোমিটারের রাস্তাটির নির্মাণ শেষ করেন তারা। সোমবার থেকে ওই রাস্তার ব্যবহারও শুরু হয়ে গেছে।
কৃষক রকেট মণ্ডল জানান, ওই রাস্তাটি সংস্কারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তাই এবার নিজেরাই রাস্তা তৈরিতে নেমে পড়েন। তবে দু্ই পাশে ব্লক দিয়ে এটি পাকা না করলে বর্ষায় তা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।
রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এটি স্থায়ী করার প্রস্তাব পাঠানো হবে স্থানীয় সরকার বিভাগে।
রাস্তাটি পরিদর্শন করে এর নিবন্ধন ও পাকাকরণের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক।