সাংবিধানিক রীতিতে বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি। আগামী বছরের শুরুর অধিবেশনে তাই বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সেই ভাষণের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিব বলেন, ‘আর্টিকেল-৭৩-এর ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংসদের প্রথম অধিবেশন আর প্রত্যেক বৎসরের প্রথম অধিবেশনে একটা ভাষণ দেন। এবং এটা রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন করাতে হয়।’
রাষ্ট্রপতির এবারের ভাষণে দশটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানান তিনি। এগুলোর মধ্যে আছে: দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামষ্টিক অর্থনীতির চিত্র, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপ ও সাফল্য, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও রূপকল্প ২০৪১ প্রণয়ন, দেশে বিদেশে কর্মসংস্থান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির প্রসার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং এজন্য গৃহীত কর্মসূচি, প্রশাসনিক নীতি, কৌশল এবং উন্নয়ন দর্শন ও অগ্রযাত্রার দিক নির্দেশনা।
রাষ্ট্রপতির ভাষণটি বিশদ ও সংসদে যেটুকু পাঠ করবেন—এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল।
বিশদ ভাষণের ব্যাখ্যায় খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ইলাবোরেশন করা শুরু হলো। আমাদের অর্থবছরগুলো জুলাই থেকে জুন। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন ইংলিশ ক্যালেন্ডার ইয়ারে। ওয়ার্ল্ডের অনেক দেশেই ইংলিশ ক্যালেন্ডারের চল আছে।’
‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ যেহেতু ক্যালেন্ডার ইয়ারের ডিটেইল ডেসক্রিপশন থাকে সুতরাং এখানে দু্ইটা থাকা উচিত। একটা ইলাবোরেট—যাতে এটা সবার কাছে রেফারেন্স হিসেবে থাকে। আর অতো বড়টা তো পড়া যাবে না, তাই আরেকটা উনি পড়েন।’
সচিব জানান, এর আগে মূলত একটি ভাষণকেই মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিত। সেটা সংসদে পাঠ করতেন রাষ্ট্রপতি।