বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২০ উদযাপন নিয়ে সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ কথা জানান কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মহামারি করোনার কারণে নানা দেশে আয়োজন সীমিত আকারে পালন হবে। করোনা কারণে লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হব।’
বড়দিনে ডিএমপির নির্দেশনা
- চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
- করোনা সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়া, থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবহার, জীবানুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসাতে হবে।
- চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিসহ ভক্ত-দর্শনার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
- বয়স্ক ও শিশুদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
- একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
বড়দিনে চার্চে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ডিএমপি।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিএমপির নির্দেশনা
- হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না।
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে।
- রাস্তায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়- সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে পানশালা বন্ধ থাকবে।
- রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।